জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইসরায়েলকে তুলোধুনো করেছে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া এবং আলজেরিয়া
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৫, অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের চলমান সংঘাত এবং তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া এবং আলজেরিয়া। এ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সমাবেশের মাধ্যমে এসব দেশগুলি ইসরায়েলকে তুলোধুনো করে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তাদের দমন-পীড়ন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ইসরায়েলকে তুলোধুনো করেছে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া এবং আলজেরিয়া
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশন মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৫, অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের চলমান সংঘাত এবং তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া এবং আলজেরিয়া। এ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সমাবেশের মাধ্যমে এসব দেশগুলি ইসরায়েলকে তুলোধুনো করে এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তাদের দমন-পীড়ন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
এতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলিউদ হোসেন চৌধুরী ইসরায়েলের দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, “ইসরায়েলের অপরাধের জন্য তাদের আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় বিচার করা উচিত। জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর উচিত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।” তিনি আরও বলেন, “বিশ্ব শান্তির জন্য ইসরায়েলের পদক্ষেপ চরম হুমকির সৃষ্টি করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই এ পরিস্থিতি বন্ধ করতে উদ্যোগী হতে হবে।”
চীন এবং রাশিয়া, যারা সাধারণত ইসরায়েলের বিরোধিতা করে থাকে, তারা ঐকমত্য প্রকাশ করে এবং ইসরায়েলের সামরিক হামলা এবং গাজার জনগণের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তাদের নিন্দা জানিয়েছে। চীনের রাষ্ট্রদূত, ঝাং উই, বলেছেন, “এটি স্পষ্ট যে ইসরায়েল জাতিসংঘের রেজুলেশন এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে, এবং বিশ্ব নেতাদের উচিত দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ইসরায়েলী সামরিক শক্তি ব্যবহার করে ফিলিস্তিনের জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
আলজেরিয়া, যারা ঐতিহ্যগতভাবে ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানায়, তাদের রাষ্ট্রদূতও একত্রিত হয়ে এই ইস্যুতে সমালোচনা করেছে। আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ তাম্বি বলেন, “ইসরায়েল জাতিসংঘের চার্টার এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে এবং আমরা আশা করি, এই অবস্থা অবিলম্বে পরিবর্তন হবে।"
ইসরায়েল তার অবস্থান পাল্টানোর কোন চিহ্ন দেখায়নি এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের ফলাফল সম্পর্কে সন্দিহান। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইসরায়েলকে আরও সজাগ এবং সতর্ক করতে পারে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই পরিস্থিতির মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলও ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত শুরু করার প্রস্তাব দিয়েছে।
বিশ্ববাজার এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির উপর এই বিতর্কের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো যখন বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।